সময়ের মূল্য রচনা class 9

 সময়ের মূল্য রচনা class 9

সময়ের মূল্য রচনা class 9



ভূমিকা: 

সময়র তটভূমিতেই ভাঙা –গড়ার ইতিহাস ।সূযোদয় থেকে সূযাস্তের ,জন্ন থেকে মৃত্যুর অন্তহীন এক লীলা ।নদীর স্রোতের মতোই বহমানতা তার ধর্ম ।কারো জন্যই তার অপেক্ষা নেই ।নেই কোনো কিছুর জন্যেই আসক্তি ,পিছুটান ।মুহূর্তের জন্যেও সে থামে না ।শুধু চলে,চলে আর চলে ।মহাকালের সেই প্রবাহে ক্ষণবন্দি মানুষের জীবন ।অনন্ত প্রবাহিত সময়ধারা থেকে যে –খন্ডসময়টুকু মানুষ তার জীবন রচনার জন্যে পায় তা এত দুর্লভ,এত মূল্যবান যে মানুষকে চিরকাল হাহাকার করতে হয়-‘নাই যে সময়,নাই নাই ,।নদী সমুদ্রে গিয়ে তার কলতান থামায়,মানুষ অনন্তে মিশে তার জীবনের পূর্ণতা খোঁজে । যে সময়টুকু মানুষ নিজের জীবনে লাভ করে তাই পৃথিবীতে টিকে থাকার সম্বল ।তাই সংসারে এক মুহুর্ত থেমে থাকার উপায় নেই ,একটু সময় নষ্ট করার অবসর নেই ।


সময়ের গুরুত্ব :

সময় অনন্ত এক দুর্লভ ঐশ্বয ।মানুষের জীবনে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নিজ জীবন,আর জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো সময় ।সময় সবার জন্যেই সূল্যবান সম্পদ ।সময়কে মূল্যবান সম্পদ বলা হলেও ,সময়কে কখনোই মূল্যমানে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়,কেননা পার্থিবজীবনের কোনো কিছুর বিনিময়েই চলে যাওয়া সময়কে আর ফিরিয়ে আনা যায় না ।‘একটা দিন চলে যাওয়া মানে জীবন থেকে একটা দিন ঝরে যাওয়া,।মানবজীবনের এই দুর্লভ সময়কে যথার্থভাবে কাজে লাগানোর মধ্যেই জীবনের সার্থকতা সূচিত হয় ।তাই সময়ের মূল্য সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হতে হয় ।

আরো পড়ুন----

জীবন সীমাবদ্ধ,সংক্ষিপ্ত ।এই সংক্ষিপ্ততার জন্যেই জীবনের এত মধূময় আকর্ষন ।জীবনের একপ্রান্তে জন্ম,অন্যপ্রান্তে মৃত্যু (Life is a vision or a watch between a sleep and a sleep )জন্ম –মৃত্যুর আলিঙ্গনে জীবন সদা কুণ্ঠিত ।জীবনের প্রারম্ভেও ঘুম ,অন্তিমে ও ঘুম ।মধ্যিখানে ক্ষণিকের জন্যে চোখ মেলে চাওয়াই জীবন ।জীবন তাই অনন্ত ধাব্মান সময়  থেকে কতকগুলো খন্ডমুহূর্ত আহরণ করার আকুল আকৃতি ।সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা –দিন-মাস বছরের সময়সূচতে সেই জীবনের ক্ষণ-বন্ধনে ।আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনকে গৌরবময়,স্মরণীয় ও বরণীয় করে তোলার একমাএ উপায় হচ্ছে ছন্দোময় ,গতিময় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করা ।এ বিশ্বের সকল কর্মকান্ড –ক্ষুদ্র বা বৃহৎ ,সবকিছুর আধার সময় ।আর জীবনের কর্মকান্ডের মধ্যেই মানুষের নাম,যশ,খ্যাতি, প্রতিষ্ঠা ,প্রতিপওি সবকিছু নির্ভর করে ।কিন্তু –‘Life is short but art is long.’ক্ষণস্থায়ী এই জীবনে কাজের অন্ত নেই,তাই সময়ের বিপুল অংশ কাজে লাগিয়ে জীবনকে সকল ও সার্থক করা আমাদের ব্যক্তিক ,সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ এ প্রসঙ্গে

 M .K.Gandhi বলেন-

 ,``Time is Life is time .Balance between life and time can help one reach the highest apex of success .’

জীবনের সকল কর্মকান্ড যথাসময়ে শেষ করার মধ্যেই জীবনের সার্থকতা নির্ভর করে ।ইতিহাস পযালোচনা করলে দেখা যায়,সময়ের সদ্ব্যবহার করে অনেক সাধারণ লোকও প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে ।আবার সময়ের মূলবোধ না থাকায় বহু প্রতিভাবান লোকও দুঃখের সাগরে পতিত হয়েছে ।তাছাড়া জীবনের কর্তব্য সম্পাদনের জন্য সময় নির্ধারিত থাকে ,অপব্যয় অপচয়ের ফলে তা কমে যায় ।তখন সময়ের অভাব বেশি অনুভূত হয় ।তাতে সময়ের মূল্য বেশি বলে বিবেচিত হয় । তাই মানবজীবনে সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম ।আর এ জন্যই লালন গেয়েছেন –‘সময় গেলে সাধন হবে না ।’

সময়ানুবর্তিতা ও সময়ের সদ্ব্যবহার :

‘মানবজাতির প্রতি বিধাতার শ্রেষ্ট দান হচ্ছে মহামূল্য সময় ,সময়ই মানবের জীবনাকাশে উন্নতির অরুণোদয় ঘটায় ,আবার সময়ই মানবের জীবনে েএনে দেয় অবনতির অমা –অন্ধকার ।একমাএ সময়ের সদ্ব্যবহার ক্ষণিকের জীবন চিরকালীন সার্থকতায় ভাস্বর হয়ে ওঠে ।মানবজীবনের প্রতিটি মুহূর্তেকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে নশ্বর পৃথিবীতে অবিনশ্বর কীর্তি স্থাপন করে যাওয়ার মধ্যেই জীবনের চরম সার্থকতা নিহিত ।খন্ড-কালের সীমিত জীবন সময়ের যে ভগ্ন-মহূর্ত মানুষ পায়,তার যথার্থ প্রয়োগেই জীবন সার্থক ও সুন্দর হয় ।জগতের মধ্যে এমন একজন মনীষীও খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি বড় হয়েছেন ,অথচ সময়ের সদ্ব্যবহার সমন্ধে সচেতন ছিলেন না ।জীবনের লক্ষ্য স্থির করে কর্তব্য অনুযায়ী সময়কে যথাযথভঅবে কাজে লাগাতে হবে ।জীবনের প্রতিটি কাজের জন্যেই রযেছে নির্দিষ্ট সময় ।ফলে কোনো একটি কর্তব্য অসম্পূর্ণ থাকলে জীবনে আর তা সর্ম্পর্ণ করার সুযোগ থাকে না ।একটি করতে গেলে অন্যটি অসর্ম্পর্ণ থেকে যায় ।জীবনের প্রত্যেকটি কর্ম পরস্পরের সঙ্গে এমন নিবিড় সম্পর্কযুক্ত যে একটি অসর্ম্পর্ণ থাকলে অপরটিও যথাযথভাবে সর্ম্পর্ণ হতে পারে না ।ফলে জীবনের প্রতিটি কর্মের অঙ্গহানি ঘটে ।অতেএব নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে ।আর এটিই হলো সময়ানুবতির্তা অর্থা্ৎ সময় সম্পর্কে সচেনতা ।

সময়ের অবহেলার পরিণাম : 

জীবনের এই সীমাবদ্ধ অবসর সময়ের যে ভগ্নাংশটুকু পা্ওয়া যায়,তার সদ্ব্যবহার মাধ্যমেই জীবন সার্থক এবং সুখময় হয়ে ওঠে ।কাজেই ,জীবনের সীমাযতনের মধ্যে যে পরম মূল্যবান সময় আমরা পাই,তাকে যদি অবহেলা করি,যদি আলস্যভরে সেই ‍দুর্লভ সময় কাটিয়ে দিই,তাহলে সেই সময়ের অপচয়ের বেদনা আমাদের জীবনের একদিন মর্মান্তিক দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াবে ,এতে কোনো সন্দেহ নেই ।তখন বুকফাট আর্তনাদ ,অজস্র অশ্রু বর্ষণে কিংবা অনুতাগের অন্তর্দাহে সেই আলস্যে অতিবাহিত সময় আর ফিরিয়ে আনা যাবে না ।আর এ জন্যেই কবি বলেছেন –

‘রাত্রে যদি সূয শোকে ঝরে অশ্রুধারা

সূয কভু ফেরে নাহি ,ব্যর্থ হয় তারা ।,

সময়কে চোখে দেখা যায় না ,শোনা যায় না তার অনন্ত চলার ধ্বনি ।মানুষ তাই ভুল করে ।মনেকেরে সময় স্তদ্ধ,অনড় ।অলস,কর্মবিমুখ ,উদাসীন মানুষ সময়ের মূল্য সম্পর্কে অঞ্জ ,অচেতন ।উপযুক্ত সময়ে মহাকাল নেয় এর প্রতিশোধ ।দুঃখময় ,অভিশাপের জীবন নিয়ে মানুষ শোধ করে তার জন্ম রৃণ ।আর যাঁরা সময়ের মূল্যবোধে শ্রদ্ধাবনত,নিজেদের শক্তি –সামর্থ্য দিয়ে বহুতর কল্যাণ-কর্মে সময়-দেবতার করেন বন্দনা ,তাঁদের মাথায় ঝরে পড়ে কালের দেবতার অপার করুণধারা ।সময় দুর্লভ ।দুর্লভ েএই মানবজন্ম ও ।যথাসময়েই আবাদ করতে হয় এই মানব-জমিন ।আর তাতেই ফলে সোনার ফসলের পযাপ্ত ফলন ।

বাঙালি সময়ঞ্জান :

বাঙালির যে সময়ঞ্জান কম তা বলাই বাহুল্য ।এর মূলে রয়েছে বাঙালির প্রাচীর জীবনযাএা থেকে প্রাপ্ত অভ্যাস ।দীর্ঘকাল ধরে বাঙালির সমাজজীবনের কাঠামো ছিল গ্রামকেন্দ্রিক ।সেখানে জীবনে জঠিলতা ছিল কম ।অল্প আয়াসে সোনার ফসলে মাঠ ভরে যেত বলে জীবনসংগ্রামের গতি ছিল মন্থর ।প্রচুর অবসর মিলত বলে সেকালে বাঙালির জীবনে ছিল বারো মাসে তের পার্বণের আনন্দ ।বাইরের জগৎ কোথায় চলছে সেদিকে বাঙালি খুব একটা ফিরে তাকায় নি ।কিন্তু বাঙালির সুখবিভোর অলস –মন্থরতা ভরা জীভনে প্রবল  অভিঘাত লাগে এদেশে ইংরেজ আগমনের পর পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রভাবে ।দেখা গেল ,পৃথিবী যেমন এগিয়ে গেছে তেমনি তাদের সমং –সচেতনতার তুলনায় বাঙালির সময় –সচেনতা রয়েছে অনেক পিছিয়ে ।এরপর বাঙালি সময়-সচেতন হতে চেষ্টা করছে ।কিন্তু অলস অভ্যাসের জের এখনো চলছে ।বাঙালির সময় ঞ্জাান সম্পর্কে যে ঠাট্রা বিদ্রুপ চলে সে অপবাদ এখনো আমরা মোচন করতে পারিনি ।

সময়কে কাজে লাগানোর উপায় :

সময়ের যথার্থ মূল্যবোধই মানবজীবনে সাফল্য অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ সোপান ।কাজের পরিমাণ বিবেচনা করে সময়কে ভাগ করে নিলে যথাসময়ে সে কাজটি সহজেই সম্পাদেন করা যায় । সে সময়ের কাজ,সে সময়ে না করে ফেলে রাখলে পরবর্তিকালে তা আর করা হ ওঠে না । স্বল্প –পরিসর –জীবনের মধ্যে সকল দায়দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন করতে হলে উপযুক্ত সময় নির্ণয় করে নিতে হবে ।স্কুল,কলেজে যেরূপ রুটিন মোতাবেক সময়কে কাজে লাগানো হচ্ছে,তেমনি প্রাত্যহিক জীবনেও আহার –বিহার ও বিনোদনের সময় চিন্তা করে সময়কে ভাগ করে নিতে হবে এবং প্রতিটি খন্ড –সময়কে হিরার খন্ড কিংবা তার চেয়েও দামি ভেবে কাজে লাগাতে হবে ।মনে রাখতে হবে –‘work while you work,play while you play,And that is the way to be happy and gay,’

আরো পড়ুন - 

ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য :

পবিএ বাইবেলে ঘোষিত হয়েছে,‘এই পৃথিবীতে প্রত্যেক কাজে একটা উদ্দেশ্য,একটা কালও একটা সময় আছে ।জন্মাবার একটা সময় আছে,মরবারও একটা সময আছে ।গাছ রোপণ করার একটা সময় আছে আর রোপিত গাছ উপড়ে ফেলারও েএকটা সময় আছে ।’অনুরূপভাবে সময় সম্বর্কে সচেতন হওয়ার প্রকৃষ্ট সময় ছাএজীবন ।ছাএজীবনে সময়ানুবর্তিতার মূল্য সর্বাধিক ।কর্মজীবনের পূর্ণ সফরতা নির্ভর করে ছাএজীবনে সময়ের সঠিক মূল্যায়নের ওপর ।উপযুক্ত সময়েই কৃষক বীজ বপন করে ।তবেই তো ফসলের রৃতুতে তার খামার শস্যপূর্ণ হয়ে ওঠে ।বীজজ বপরেই তো ফসলের প্রতিশ্রুতি ।তা না হলে খামার শূন্য ।অশ্রুবর্ষণেও সেই অবহেলার ক্ষমা নেই । অনুশোচনায়ও নেই সেই অন্তর্জ্বালার অবসান ।মানুষের ছাএজীবনই হলো ভবিষ্যৎ ফসলের বীজ বপনের প্রত্যাশিত লগ্ন, সুন্দর ও সার্থক জীবন-গঠনের প্রস্তুতিপর্ব ।তখন থেকেই সময়ের সদ্ব্যবহারের শুভযাএা ।শ্রমকুষ্ঠিত ,সময় –অচেতন, অলস ছাএ শুধু যে পরীক্ষায় অনুওীর্ণ হয় তাই নয় ,বৃহওর জীবনের ক্ষেত্রেও পদে পদে তার ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস ।সময়-শিক্ষার প্রশিক্ষণ ক্ষেেএই হলো ছাএজীবন।প্রসঙ্গত উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছেন,সমেয়ের প্রতি যাদের শ্রদ্ধা নেই, তারাই পৃথিবীতে নিঃস্ব বঞ্চিত ও পরমুখাপেক্ষী ।’সুতরাং ছাএজীবন থেকেই সময়সচেতন হয়ে নিজেকে উপযুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে ।

মনীষীদের জীবনে সময়নিষ্ঠার তাৎপয:

সমাজে যাঁরা বরণীয়,জীবনের শুরুতেই তাঁরা সময়-চেতনার মহৎ উপলদ্ধিতে উজ্জীবত হয়েছেন ।খন্ড –কালের জীবনেই তাঁরা রেখে যান মৃত্যুঞ্জয়ী স্বাক্ষর ।সময়ের শাসনকে স্বীকার করেই জীবন-সাধনায় লাভ করেন পরম সিদ্ধি ।সময়ের আরাধনা করেই মানুষ হয়েছে ইতিহাসের কৃতী পুরুষ ।কবি-শিল্পী-সাহিত্যকের দল ওই সীমিত জীবনেই কত মহৎ সৃষ্টির উপচার সাজিয়ে মহাকালের আরাধনা করেছেন ।বিঞ্জানী তাঁর অতন্দ্র সাধনার মধ্য দিয়েই জগৎকে দিয়ে গেছেন নব নব আবিষ্কারের অতুল বৈভব ।কত ধর্মনেতা হিংসায় সও ধরণির ‍বুকে এনেছেন প্রেমের প্লাবন ।বিশ্বনবি হযরত মুহম্মদ স ,কাজ নজরুল ইসলাম ,রবীন্দ্রনাথত ঠাকুর ,সক্রেঠিস,আইনস্টাই,নিউটন,শেক্সলিয়ার,মিলটন খৈয়ান প্রমুখ মনীষীর জীবনী আলোচনা করলে দেখা যায় ,তাঁরা দিন-রাত তাঁদের উপাসনা,গবেষনা ও লেখার কাজ চালিয়েছেন ।এভাবে সময়ের মূল্যায়নের মাধ্যমেই তাঁরা জগদ্বিখ্যাত হয়েছেন ।সময়ানুবর্তিতার কারণেই ইংল্যান্ড,আমেরিকা,জাপান,রাশিয়অ,জার্মানি ,জাপান,থাইল্যান্ড,মালয়েশীয়া ,দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি দেশ শিক্ষা ,ঞ্জান –বিঞ্জান ,শিল্প –সংস্বৃতিতে উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে আরোহণ করতে পেরেছে ।

সময়ের অপব্যবহার ও আমাদের কর্তব্য :

যারা সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগায় না ও সময়ের মূল্য দেয় না ,তাদের জীবনাকাশ ঘনকালে মেঘে আচ্ছন্ন ।‘ওয়াটার –লুর যুদ্ধে নেপোলিয়নের সেনাপতি নির্দিষ্ট সময়ের কিছুক্ষণ পরে সসৈন্য যুদ্ধক্ষেত্রে হাজির হওয়ায় নেপোলিয়নের শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল ।প্রসঙ্গক্রেমে একটি জার্মান ছড়ার উল্লেখ করেছি:

‘For want of a nail,the shoe is lst/`Fob want of a shoe,the horse was lost,For want of a horse,the rider was lost./`For want of a rider,the battle was lost,`For want of a battle,the kingdom was lost./And all for want of a horse shoe nail.’

অর্থাৎ একটি পেরেকের অভাবে ঘোড়ার খুর কাজ করে নি ।খুরের সমস্যার ফলে ঘোড়া কাজ করে নি ।ঘোড়া না থাকাতে অশ্বরোহী সৈন্য পাওয়া যায়নি ।অশ্বারোহী সৈন্যের অভাবে যুদ্ধে হেরে যেতে হলো ।যুদ্ধ হেরে যাওয়াতে রাজত্ব হারাতে হলো ।আর এ সবকিছুই ঘটেছিল সময়মতো ঘোড়ার খুরের একটি পেরেকের অভাবে ।মনে রাখতে হবে যে,‘সময়ের একফৌড় অসমযেরর দশ ফৌড়’/সময় মতো একটি পেরেকের জোগান না দিতে পারায় জীবনযুদ্ধে হেরে যেতে হয়েছে ।এমনিভাবে সময়ের অপব্যবহারে বহু প্রতিভাবান ও শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তি জীবনযুদ্ধে হেরে গেছেন ।সময়ে কোন মুহূর্তটি যে মূল্যবান তা কেউ জানে না বলেই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকেই মহামূল্যবান ভেবে কাজে লাগাতে হবে ।সময়ের অবহেলা মানে জীবনকে অবহেলা করা ।ঘড়ির কাটাটি টিক টিক করে যেন ঠিক এ কথাটিই বলে চলেছে –‘      সাবধান !আমাকে ভুলো না,তোমার সুপ্ত চৈতন্য জাগ্রত কর,কল্যাণ তোমারই হবে ।’

সময়ের মূল্য প্রবন্ধ রচনা 

উপসংহার :

সময়ঞ্জান মানুষের সার্বিক উন্নতির চাবিকাঠি ।ব্যক্তিজীবনে ও জাতিয় জীবনে সময়ের মূল্য অপরিসীম -                      ”পাশ্চাত্য দেশে বলা হয় ,    ’সুতরাং সময়ই হচ্ছে সকল সম্পদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।সময়ের মূল্যবোধেই দেশ ও জাতির জীবনকে শৌযে –বীযে ,মননে, অর্থনৈতিক নিশ্চয়তায় করেছে সমুন্নুত সাধনার পীঠস্থান ।জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাজে লাগাতে পারলে ক্ষণস্থায় জীবন ঞ্জান ও কর্মের মহিমায় অনন্তকাল ধরে উজ্জ্বর হয়ে থাকবে। তার অস্তিত্ব অবিনশ্বর ইতিহাসে পরিণত হবে –মরেও সে মানুষের অন্তরে অমর হয়ে থাকবে ।যুগে যুগে কবিকন্ঠে ধ্বনিতে হয়ে উঠবে-

এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ,

মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান ।

 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post