সার্বভৌমত্ব কী?

  • সার্বভৌমত্ব কী?  সার্বভৌমত্বের সংজ্ঞা দাও।
উওরঃসার্বভৌমত্ব কী?

ভূমিকাঃ

রাষ্ট্র গঠনের চারটি উপাদানের মধ্যে সার্বভৌমত্ব অন্যতম। সার্বভৌমত্ব ধারণাটি আধুনিক রাষ্টের ভিওি। সার্বভৌমও্ব ছাড়া কোন রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না।

সার্বভৌমত্বঃ সার্বভৌমত্বের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো`soveteihnty যা ল্যাটিন শব্দ Superancs এবং  `Sovrano' থেকে এসেছে। এ দুটি ল্যাটিন শব্দের অর্থ হলো  `Supreme 'অর্থাৎ প্রধান বা চূড়ান্ত। সুতরাং বুৎপওিগত অর্থে সার্বভৌমিকতা বলতে এক বিশেষ ক্ষমতাকে বুঝায়

প্রমান্য সংজ্ঞাঃ বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভঅবে সার্বভৌমত্বের সংজ্ঞা দিয়েছেন। যেমন-

মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক বার্জেস (Prof.Burgess)  এর মতে ,‘‘সাবভৌমিকতা হলো সকল প্রজা ও তাদের সকল সংগঠনের উপর আদি ,নিরস্কুশ ও সীমাহিন ক্ষমতা।’’ 

ব্লাকস্টোন (Blackstone)এর মতে ,‘‘সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের চরম,অপ্রতিরোধ্য ,শর্তহীন কর্তৃত্বে।’’(The supreme ,irresistible,absolute ,uncontrolled authority.)

উইলোবি (Willoughby)এর ভাষায়,‘‘সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতা।’’র্

Anderson and Christol বলেছেন,``The Word sovereignty denotes supreme and final legal authority aboce beyond Which no further legal power evists.''

উপসংহার ঃ উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে আমরা বলতে পারি যে ,সার্বভৌমত্বর হলো এমন এক ক্ষমতা যেখানে রাষ্ট্র সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।

  • জন অস্টিনের সার্বভৌমত্ব তও্ব আলোচনা কর।

 অস্টিনের সার্বভৌমত্ব তও্বঃ সার্বভৌমত্ব সর্মর্কে আইনগত মতবাদের নাম একত্ববাদ। একত্ববাদীদের মতে,সার্বভৌমত্ব হচ্ছে অবাধ ,অসীম ও অবিভাজ্য ক্ষমতা । একত্ববাদ বা আইনগত মতবাদের নাম একত্ববাদ। একত্ববাদীদের বিখ্যাত ইংরজ আইনবিদ জন অস্টিন। ১৮৩২ সালে প্রকাশিত ‘আইনশাস্ত্রের উপর বক্তৃতামালা’ নামক গ্রস্হে তিনি আইনগত সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে তাঁর সুস্পষ্ট মতামত ব্যক্ত করেন। অস্টিন সার্বভৌমত্ব তও্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হবসের নিরস্কুশ ক্ষমতাসম্পন্ন সার্বভৌমত্বের সাথে উপযোগবাদী বেস্হামের সার্বভৌমত্ব তও্ব দ্বারা গভীরভঅবে প্রভাবিত হন। ম্যাডিসন প্রমুখ নেতৃবর্গ কেন্দ্র ও রাজ্যগুলোকে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে সার্বভৌম বলে ঘোষণা করেনে। সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে বক্তৃতা রাখতে গিয়ে জন অস্টিন মূলত তাঁর নিজের আইন তও্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।

সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে জন অস্টিন বলেছেন,‘‘যদি কোন নির্দিষ্ট উর্ধ্ধতন ব্যক্তি বা ব্যক্তিসমষ্টি অপর কোন উর্ধ্বতনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ না করে,সে সমাজের বেশিরভাগ লোকের স্বভাবজা আনুগত্য লাভ করে ,তখন সে নির্দিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সে সমাজের সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী এবং উক্ত সমাজ একটি রাজনৈতিক  ও স্বাধীন সমাজ।’’

উপসংহারঃ উপর্যুক্ত  আলোচনা শেষে বলা যায় যে ,সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে অস্টিনের মতবাদ শুধূ গুরুত্বপূর্নই নয়, তা সার্বভৌত্বের মর্যাদা বহুগুলে ‍বৃদ্ধি করেছে। তবে বহুত্ববাদীদের সমালোচনা অনুযায়ী জনমত,প্রথা প্রর্ভতিকে একেবারে গুরুত্বহীন করা অস্টিনের পুরোপুরি ঠিক হয়েছে কি না এ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কিন্তু একথাও সত্য যে,রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে যত সংঘ বা প্রতিষ্টানই থাকুক না কেন,সেগুলোকে পুরোপুরি স্বাধীনতা প্রদান না করে তাদের উপর কিছুটা হলেও রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ রাখা উচিত। গার্নার এর মতে,‘‘সার্বভৌমিকতার আইনগত চরিএ বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে অস্টিনের তও্ব মোটের উপর সুস্পষ্ট ও যুক্তিপূর্ণ।’’

  • অস্টিনের সার্বভৌম তও্বের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর।
উওরঃ 

ভূমিকাঃ

 সার্বভৌমিত্বের ধারণা হলো আধুনিক রাষ্ট্র বিজ্ঞানের মূল ভিওি। আধূনিক কালে সার্বভৌমও্ব ছাড়া কোন রাষ্ট্রের কথা কল্পনা করা যায় না। সার্বভৌমত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের সর্বপেক্ষ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। prof.Miller বলেন,``We must recognise the sovereign state as the prime facr of political life.''

অস্টিনের সার্বভৌম তও্বের বৈশিষ্ট্য ঃ নিম্নে অস্টিনের সার্বভৌম তও্বের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলঃ

১.সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট ঃ অস্টিনের মতে,‘‘সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী বিশেষ কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তি সংসদ ।’’সুতরাং সার্বভৌমিকতার অবস্থান সম্পর্কে কোন বিরোধ থাকার কথা নয়। কারণ প্রকৃতিগতভাবেই তা সুনির্দিষ্ট এবং সুস্পষ্ট। 

২.চরম ও অসীমঃ সার্বভৌম শক্তি হলো এমন উধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা অন্য কোন অনুরূপ কর্তৃপক্ষের নিকট আনুগত্য প্রদর্শন করে না। অর্থাৎ সার্বভৌম ক্ষমতা চরম ও অসীম। 

৩.আবিভাজ্য ঃ অস্টিনের সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রকৃতগতভাবে চরম ও অসীম ক্ষমতার অধিকারী এজন্য রাষ্ট্রের সব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে বা সংঘের উপর কর্তৃত্ব আরোপ করতে পারে। এরূপ সার্বভৌম কর্তৃত্বের সার্বভৌম কর্তৃত্ব সবসময় অবিভাজ্য। 

৪.আনুগত্যবোধঃ জনগণ স্বাভঅবিকভাবে সার্বভৌম কর্তৃত্বের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে। সুতরাং জনগণের স্বাভাবিক আনুগত্যকে সার্বভৌমিকতার মানদন্ড বলে মনে করা হয়। 

৫.সর্বজনীনঃ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সার্বভৌমিকতা সকলের উপর সমানভঅবে প্রয়োগযোগ্য।

৬.স্থায়িত্বঃ স্থায়িত্ব অস্টিনের সার্বভৌম তও্বের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্র। রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব যতদিন সার্বভৌমত্বের স্থায়িত্ব ও ততদিন। সরকারের পরিবর্তনের সা থে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বর পরিবর্তন হয় না ।

৭.আইনের ব্যবহারঃ অস্টিনের মতে,সার্বভৌমিকতার আদেশই হলো আইন,সকলেই সার্বভৌমিকতার আদেশ অর্থাৎ আইন মান্য করতে বাধ্য। যারা আইন মান্য করে না তাদেরকে শাস্তি পেতে হয়।

৮.অস্তিত্বঃ অস্টিনের মতে,সকল রাজনৈতিক ও স্বাধীন সমাজেই সার্বভৌমিকতার অস্তিত্ব থাকে।

৯.মানুষের সৃষ্টিঃ সার্বভৌমিকতার ক্ষমতা ঈশ্বর থেকে প্রদও নয় ।এটা মানুষের সৃষ্টি।

১০.চূড়ান্তে ক্ষমতাঃ সার্বভৌম ক্ষমতা হলো রাষ্ট্রের চূড়ান্ত নিরস্কুশ ও সীমাহীন ক্ষমতা। রাষ্ট্র ব্যতীত কোন সংস্হা বা প্রতিষ্টানের হাতে এরূপ চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকতে পারে না। 

অস্টিনের সার্বভৌমত্বের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধ্যাপক লাস্কি তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্বরোপ করেছেন-

১.অস্টিনের মতে রাষ্ট্র হলো আইন অনুসারে সংগঠিত এমন একটি সংস্হা যেখানে নির্দিষ্ট কর্তৃত্বেই হলো সমগ্র ক্ষমতার উৎস।

২.এরূপ রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বি অসীম অর্থাৎ কোন বিন্দুর দ্বারা সীমাবদ্ধ বা নিয়ন্ত্রিত নয়।

৩.সার্বভৌম শক্তির আদেশেই হলো আইন। আইন ভঙ্গের অপরাধে রাষ্ট্র আইন ভঙ্গকারীকে অযাচিত শাস্তি দিতে পারে।

উপসংহারঃ পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে,সার্বভৌম তও্বে অস্টিনের অবদান নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আইনগত সার্বভৌমত্বের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান এবং প্রথা,সামাজিক রীতি-নীতি জনমত প্রর্ভতিকে উপেক্ষা করে তিনি এক দেশদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু এ কথাও সত্য যে,রাষ্টের অভ্যস্তরে যত সংঘ বা প্রতিষ্ঠানই থাক না কেন সেগুলোর উপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ থাকা একান্ত আবশ্য।

  • সার্বভৌমত্বের বৈশিষ্ট্যসমূহ আলোচনা কর।
উওরঃ

ভূমিকাঃ 

সার্বভৌমিকতার বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বস্তুত সার্বভৌমত্বের তাও্বিকরা েএসব বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে সার্বভৌমকতাকে তাও্বিক রূপ দিয়েছেন। অধ্যাপক আর জি.গ্যাটেল তাঁর political Science' গ্রন্হে সার্বভৌমিকতার বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। 

সার্বভৌমত্বের বৈশিষ্ট্যসমূহ ঃ সার্বভৌমিকতার সংজ্ঞা ও স্বরূপ সম্পর্কিত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিত এর কতকগুলো বৈশিষ্ট্যের পরিচয় পাওয়া যায়। এসব বৈশিষ্ট্যর পরিপ্রেক্ষিতে সার্বভৌমিকতার ধারণাটি সুস্টষ্টভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। নিম্নে সার্বভৌমত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো যথাপরিসরে তুলে ধরা হলোঃ

১.মৌলিকতা ও চরমতাঃ রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা হলো আদি ও অকৃক্রিম ক্ষমতা।এ ক্ষমতা কোন সৃষ্ট ক্ষমতা নয়। সার্বভৌমিকতা অপর কোন শক্তির উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। এ ক্ষমতা মৌলিক ও অকৃত্রিম। এ হলো রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য উপাদান। E.C.Ewing এর মতে ,রাষ্ট্রের মৌলিকত্ব হলো সার্বভৌমত্ব । 

২.সর্বজনীনতাঃ সর্বব্যাপকতা সার্বভৌম ক্ষমতার অপর এক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য । সার্বভৌমিকতা সর্বব্যাপক বা সর্বজনীন। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানের উপর রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব সমভাবে পরিব্যাপ্ত। রাষ্ট্রের  এলাকাভুক্ত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রের এ কর্তৃত্বের বাইরে থাকতে পারে না। রাষ্ট্র যে আ্ইন প্রনয়ন করে তার এলাকাভুক্ত সকল ব্যক্তি ও সংগঠনের উপর সমানভাবে প্রযোজ্য। এ সম্পর্কে prof.Barker ``Sovereignty is limited ..... by its own nature and its own mode of action.''

৩.স্থায়িত্বঃ স্থায়িত্ব হলো সার্বভৌমিকতার আরেকটি বৈশিষ্ট্য । সার্বভৌমিকতার স্থায়িত্বের প্রশ্নটি রাষ্ট্রের অস্তি্েত্বর সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। সার্বভৌমিকতা রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য উপাদান। রাষ্ট্র যতদিন টিকে থাকে,সার্বভৌমিকতাও ততদিন স্থায়ি হয়। স্থায়িত্ব হলো রাষ্ট্র ও সার্বভৌমিকতা উভয়েরিই বৈশিষ্ট্য । সার্বভৌমিকতার স্থায়িত্বের উপর রাষ্ট্রের স্থায়িত্ব নির্ভরশীল। রাষ্ট্রের বিলুপ্তিতেই এ ক্ষমতার অবসান ঘটে। 

৪.অবিভাজ্যতাঃ রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা অবিভাজ্য। এ ্ক্ষমতাকে বিভক্ত করা যায় না । সার্বভৌমিকতা রাষ্ট্রের চূড়ান্ত ক্ষমতা।এ ক্ষমতার কেন্দ্র মাএ একটি । এর ভাগাভঅগি অসম্ভব । এ ক্ষমতার ভাগাভাগি এর বিলিুপ্তিরই শামিল। prof.Gettell  যথার্থই বরেছছেন,‘ে‘সার্বভৌমিকতার বিভাজন একটি স্ববিরোধী ধারণ্’’

৫.হস্তাস্তরযোগ্য নয়ঃ সার্বভৌমিকতা রাষ্ট্রের অব্বিচ্ছেদ্য উপাদান্।একে হস্তান্তর করা যায় না। রাষ্ট্র তার সার্বভৌম ক্ষমতাকে কখনেই অপরের কাছে সমর্পণ করতে পারে না।অন্যথায় রাষ্ট্রের অবসান অনিবার্য । সার্বভৌমিকতা রাষ্ট্রের প্রাণ্বরুপ।যে কোন প্রাণীর পক্ষে যেমন তার প্রাণের হস্তান্তর িএক হাস্যকর ধারণঅ,ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের পক্ষেও তার সার্বভৌমিকতার হস্তন্তর এক অবাস্তবকল্পরান। প্রাণ ছাড়া প্রাণিদেহ মৃত বলে গণ্য হয়। অনুরূপভাবে,সার্বভৌমিকতা ব্যতিরেকে রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে গার্নার বলেছেন,‘‘সার্বভৌমিকতার হস্তান্তর আত্নাহত্যঅর শামিল।

৬.অনন্যতাঃ সার্বভৌম ক্ষমতা অনন্য। এটা শুধূ রাষ্ট্রের হাতেই ন্যস্ত থাকে। রাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্টান সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী নয়।Prof.Mobbott বলেছেন,‘‘অলংকার মানুষের শরীরের যেমন সৌন্দর্য বর্ধিক করে,তেমনি অনন্যতা সার্বভৌমত্বের সৌন্দর্য বর্ধিত করে।’’রাষ্ট্র সার্বভৌম ,তাই সব্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী এবং এর ফলে বাধ্যতামূলকভাবে রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকগণ আনুগত্য প্রকাশ করে। 

৭.এককত্বও ব্যপকত্বঃ একটি রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা এককভাবে পরিচালিত হয়। এর বিভক্তি রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে। অন্যদিকে,সার্বভৌমত্বের ধারণাটি রাষ্ট্রের সর্বেএই ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। এটি রাষ্ট্রের অভ্যস্তরেও বহির্বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ে সমভাবে প্রযোজ্য।

৮.অত্যাবশ্যকতাঃ যে কোন রাষ্ট্রের জন্য সার্বভৌমত্বর আবশ্যক উপাদান হিসেবে বিবেচিত। সা্র্বভৌম ক্ষমতার বলেই। রাষ্ট্র এর অভ্যন্তরে সকল প্রতিষ্টানের উপর কর্তুত্বারোপ করে এবং বহিরাক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। সুতরাং রাষ্ট্রের জন্য সার্বভৌমত্ব অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। ্তাই অত্যাবশ্যকতা সার্বভৌমত্বরর গুরুত্বপূর্ণ  বৈশিষ্ট্য।

৯.চরমতাঃ সার্বভৌম ক্ষমতা হলো চরম,চূড়ান্তের মতো নিরস্কুশ ও সীমাহীন। অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক কোন শক্তির দ্বারা সার্বভৌম ক্ষমতা নিয়নিত ও পরিচালিত হয় না। রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান সার্বভৌমকে মেনে চলতে বাদ্য এ সম্পর্কে prof. Barker বলেছেন,``Sovereignty is limited---  by its own nature and its own moder of action.''

১০.আইনগত বৈধতাঃ সার্বভৌমত্বের আইনগত বৈধতা রয়েছে।এটি সার্বভৌমত্বের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আইনের মাধ্যমেই সার্বভৌমত্ব তার ক্ষমতা রাষ্ট্রের ভিতরে ও বাইরে প্রয়োগ করে। 

উপসংহারঃ উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে,সার্বভৌমত্বের উপরিউক্ত বৈশিষ্ট্র্র্যবলি ব্যাখ্যা করলে একথা স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে,সার্বভৌমত্বর ধারণাটি হচ্ছে আধূনিক রাষ্ট্রের ভিওি।এটি রাষ্ট্রের প্রাণস্বরূপ । এটা একক,অবাদ,চূড়ান্ত এবং অবিভাজ্য ক্ষমতা। সর্বোপরি,সার্বভৌমত্ব ছাড়া রাষ্ট্রর অস্তিত্ব অকল্পনীয়। prof.Gettell  যথার্থই বলেছেন,``The concept of sovereignty is the basis of modern political Science.''


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post