৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন: কী কী কারণে পরিবেশ দূষিত হয়?

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


উত্তর: পরিবেশ দূষণের অনেক তারণ রয়েছে িএর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হলো-

) বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য কৃষিজমতে রাসায়নিক সার কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে িএসব রাসায়নিক পদার্থ বৃষ্টি বন্যার পানির সঙ্গে মিশে পুকুর, খালবিল নদীতে পড়ছে ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে

) বিগত বছরগুলোতে জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে এবং য়ানবাহন, কলকারখানাও বেড়েছে দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা, যেমন- কাপড় কল, পাটকল, সার কারখানা, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা সাধারণত নদীর ধারেই অবস্থিত এসব কারখানার বর্জ্য পদার্থ নদীর পানি দূষিত করে ফলে পরিবেশ দূষিত হয়

) ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আবর্জনা মলমূত্র নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা নাথাকায় আবর্জনা মলমূত্র জমে, পচে দূর্গন্ধ ছড়ায় নানারকম বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি করে যা পরিবেশকে দূষিত করে

) ইটের ভাটা, রান্নার চুলা, মোটরগাড়ির অব্যবহৃত টায়ার ঝোপজঙ্গল পোড়ালেও ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় যা বায়ুকে তথা পরিবেশকে দূষিত করে

) আবর্জনা বর্জ্য পদার্থ অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয় যার ফলে পরিবেশ দূষিত হয়

প্রশ্ন: আমরা কীবাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি?

উত্তর: আমরা কতকগুলো উপায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি যেমন-

) কলকারখানা বর্জ্য পদার্থ যেন পরিবেশ দূষিত না করে সে জন্য বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্তা করতে পারি

) প্লাস্টিক, পলিথিন ধাতব জিনিস প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করতে পারি

) ময়লা-আবর্জনা, মলমূত্র যেখানে সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে পারি

) কৃষিখেত, গাছপালা, শস্যাদি এবং পশুপাখির নিয়মিত পরিচর্যা করতে হবে

) বাড়ির আশপাশে বেশি করে গাছপালা লাগাতে হবে

২. ৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর

) পরিবেশ দূষণ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: পরিবেশের যে পরিবর্তন জীবের জন্য ক্ষতিকর তাকে পরিবেশ দূষণ বলে বিভিন্ন ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ পরিবেশে মিশলে পরিবেশ দূষিত হয়

)বায়ু দূষণের ফলে কী হয়?

উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে বায়ূ দূষণের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এসিড বৃষ্টি হয় এছাড়াও মানুষ ফুসফসের ক্যানসার শ্বাসজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়

) চার ধরনের পরিবেশ দূষণ কী কী?

উত্তর: চার ধরনের পরিবেশ দূষণ  হলো বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ এবং শব্দ দূষণ

) পরিবেশ দূষণের উৎসসমূহ কী?

উত্তর: পরিবেশ দূষণের উৎসসূমহের মধ্যে প্রধান উৎস হলো শিল্পায়নের কারণে তৈরি শিল্পকারখানা এছাড়াও পয়ঃনিষ্কাশন, ময়লঅ আবর্জনা, কীটনাশক সার, মাইক, হর্ণ উচ্চঃস্বরে গান বাজানো ইত্যাদি পরিবেশ দূষণের উৎসের অন্তর্ভুক্ত

) পরিবেশ সংরক্ষণের টি উপায় লেখ

উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের টি উপায় হলো-

) জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যববহার  কমানো

) বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা

) প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানো

) পানির অপচয় রোধ করা

) বেশি করে গাছ লাগানো

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায়  বর্ণনামূলক প্রশ্ন উত্তর:

() পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ ব্যাখ্যা কর

উত্তর: পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ হলো-

) মানুষ ক্যানসার, শ্বাসজনিত রোগ, পানিবাহিত রোগ, ত্বকের রোগ ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়

) খাদ্যে শৃঙ্খল ধ্বংস হয়

) জীবজন্তুর আবাসস্থল নষ্ট হয় এবং অনেক জীব পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়

)  পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে

) মেরূ অঞ্চলের বরফ গলে যায়, ফলে সমুদ্রের পানি উচ্চতা বৃদ্ধি পায়

() আমরা কীভাবে শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি?

উত্তর: কতকগুলো উপায় অনুসরণ করে আমরা শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করতে পারি যেমন-

) বিনা প্রয়োজনে  হর্ণ না বাজিয়ে

) উচ্চৈস্বরে গান না বাজিয়ে

) জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যত্রতন্ত্র মাইক না বাজিয়ে

) বড় বড় যন্ত্রপাতি থাকায় কলকারখানাকে লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করে

) অন্য যেকানোভাবে উচ্চ শব্দ  সৃষ্টি রোধ করে

পরিবেশ সংরক্ষণ কী?

উত্তর: মাটি, পানি, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু এগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এবং আমাদের বেচে থাকার জন্য এসবের প্রয়োজন। পরিবেশের সম্পদসমূহের রক্ষণাবেক্ষণ করে আ্মরা পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি। আবার এ সম্পদগুলোর য়থাযথ ব্যবহার করে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যায়। সুতরাং প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং য়থায়থ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।

৪) মাটি দূষণ কেন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

উত্তর: মাটি দূষণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার কারণ নিম্নরূপ:

১) মাটি দূষণের ফলে পশুপাখি মারা যায় এবং পরিবেশে জঅবাণু ছড়ায় বলে মানুষও আক্রান্ত হয়।

২) দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসাবে গ্রহণের ফলে মানুষ ক্যানসারসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়।

৩) মাটি দূষণের কারণে গাছপালা মরে যায়, ফলে মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়।

৪) মাটি দূষণের ফলে আবাদি জমিতে ফসল ভালো হয় না বলে খাদ্য সংকট দেখা দেয়, ফলে মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটে।

৫) গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য মাটিতে মিশে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং হাপানি, যক্ষা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়।

৫। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?

উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নিম্নরুপ কারণে পরিবেশ দূষিত-

১) জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি পায় বলে পরিবেশ দূীষত হয়।

২)মানুষ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য পরিবেশ ধ্বংস করে।

৩) অধিক কলকারখানা গড়ে ওঠে, সেগুলো থেকে নির্গত ধোঁয়া ও রাসায়নিক পদার্থ পরিবেশ দূষিত করে।

৪) জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে তাদের দ্বারা সৃষ্ট পয়ঃনিষ্কাশন ও গৃহস্থালির বর্জ্য দ্বারা পরিবেশ দূষিত হয়।

৫) জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বিভিন্ন উপায়ে মাটি দূষণ, পানি দূষণ ও বায়ু দূষণ বেশি হয় বলে পরিবেশও দূষিত হয়।

৬। মাটি এবং পানি দূষণের সাদৃশ্য কোথায়?

উত্তর: মাটি দূষণ ও পানি দূষণের নিম্নরুপ সাদৃশ্য দেখা যায়-

১) মাটি দূষণে জমির উর্বরতা নষ্ট হয় এবং পানি দূষণে পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে এবং পানির স্বাভাবিকতা নষ্ট হয়।

২)মাটি দূষিত হলে গাছপালা ও পশুপাখি মারা যায়, পানি দূষিত হলে জলজ প্রাণী, যেমন-মাছ মারা যায়।

৩) মাটি দূষণ ও পানি দূষণ উভয় দূষণে মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়।

৪) দূষিত মাটিতে উৎপন্ন খাদ্য গ্রহণে ক্যানসার ও দূষিত পানি পান করলে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়।

৫) পয়ঃনিষ্কাশন, যত্রতত্র ময়লা ফেলা, কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন ইত্যাদি কারণে মাটি ও পানি উভয়ই দূষিত হয়।

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১। পরিবেশ দূষণের দুটি কারণ লেখ।

উত্তর: পরিবেশ দূষণের দুটি কারন হলো- ১) যেখানে সেখানে ময়লা এবং ২) ময়লা আবর্জনা পানিতে ফেলা।

২। মাটি দূষণের দুটি কারণ লেখ।

উত্তর: মাটি দূষণের দুটি কারণ হলো-

১) জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ এবং ৩) পলিথিন ব্যাগ মাটিতে ফেলা।

৩। দুটি পানিবাহিত রোগের নাম লেখ।

উত্তর: দুটি পানিবাহিত রোগ হলো ডায়রিয় ও কলেরা।

৪। পরিবেশে পানি দূষনের দুটি প্রভাব লেখ।

উত্তর: পরিবেশে পানি দূষণের দুটি প্রভাব হলো: ১) মানুষের চর্মরোগে আক্রান্ত হওয়া ও ২) জলজ খাদ্য শৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটা।

৫। পরিবেশ সংরক্ষণের একটি উপায় লেখ।

উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের একটি উপায় হলো প্লাস্টিক, পলিথিন ও ধাতব জিনিস প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহার করা।

৬। শিল্পকারখানা সচল রাখার জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি জীবশ্ম জ্বালানির নাম লেখ।

উত্তর: শিল্পকারখানা সচল রাখার জন্য ব্যবহৃত কয়েকটি জীবাশ্ম জ্বালানি হলো- তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি।

৭। পরিবেশের বেশির ভাগ দূষণ কিসের ফলে হয়ে থাকে?

উত্তর: পরিবেশের বেশিরভাগ দূষণ মানুষের দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফলে হয়ে থাকে।

৮। বায়ু দূষণের প্রধান কারণ কি?

উত্তর: বায়ু দূষণের প্রধান কারণ হলো যানবাহন ও কলকারখানার ধোঁয়া নির্গত হওয়া।

৯। বায়ু দূষণজনিত পরিবেশের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।

উত্তর: বায়ু দূষণজনিত পরিবেশের দুটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া ও এসিড বৃষ্টি হওয়া।

১০। মাটি দূষণকারী কয়েকটি পদার্থের নাম লেখ।

উত্তর: মাটি দূষণকারী কয়েকটি পদার্থ হলো কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, তেল ইত্যাদি।

১১। মাটি দূষণের ফলে জমির কী নষ্ট হয়?

উত্তর: মাটি দূষণের ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।

১২। শব্দ দূষণের দুটি কারণ লেখ?

উত্তর:  শব্দ দূষণের দুটি কারণ হলো বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ণ বাজানো ও উচ্চৈস্বরে গান বাজানো।

১৩। শব্দ দূষণের কয়েকটি ক্ষতিকর প্রভাব লেখ।

উত্তর; শব্দ দূষণের কয়েকটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো অবসন্নতা, শ্রবণ শক্তি হৃাস, ঘুমের ব্যাঘাত সৃষ্টি, কর্মক্ষমতা হৃাস ইত্যাদি।

১৪। শব্দ দূষণ রোধ করার দুটি উপায় লেখ।

উত্তর:  শব্দ দূষণ রোধ করার দুটি উপায় হলো অপ্রয়োজনে গাড়ির হর্ণ বাজানো ও উচ্চৈস্বরে শব্দ সৃষ্টি না করা।

১৫। পরিবেশ সংরক্ষণ কী?

উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথায ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।

১৬। পরিবেশ সংরক্ষণের প্রধান উপায় কী?

উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের প্রধান উপায় হচ্ছে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

১৭। দূষিত বায়ু কী?

উত্তর: যে বাযুতে দূসিত গ্যাস, রোগজীবাণু, ধূলিকণা ইত্যাদি মিশ্রিত থাকে তাকে দূষিত বায়ু বলে।

১৮। দূষিত পানি কী?

উত্তর: যে পানিতে নানা প্রকার রোগজীবাণু, ময়লা-আবর্জনা ইত্যাদি থাকে এবং পান করলে আমাদের বিভিন্ন ধরণের রোগ হয় তাকে দূষিত পানি বলে।

১৯। শব্দ দূষণ কী?

যে উচ্চ তীব্রতা ও তীক্ষ্ণতাসম্পন্ন শব্দ আমাদের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে তাকে শব্দ দূষণ বলে।

৫ম শ্রেণির বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

১। শব্দ দূষণের একটি কারণ লেখ। হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুটি প্রভাব লেখ। শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুটি উপায় লেখ্

উত্তর: শব্দ দূষণের একটি কারণ হলো লাউড স্পিকার বা মাইক বাজানো। হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট দুটি প্রভাব হলো-

১) শ্রবণ শক্তি হৃাস পাওয়া।

২) ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়া।

শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুটি উপায় হলো-

১) সংগীতানুষ্টানে উচ্চৈস্বরে গান না বাজানো।

২) পটকা ও আতশবাজি ব্যবহার না করা।

২। পরিবেশের প্রধান উপাদান কয়টি ও কী কী? সুস্থভাবে জীবের বেচেঁ থাকার জন্য কিসের প্রয়োজন? মানুষ বাড়ার সাথে পরিবেশ দূষণের সম্পর্ক তিনটি বাক্যে উল্লেখ কর।

উত্তর: পরিবেশের প্রধান উপাদান তিনটি। যথা-বায়ু, মাটি ও পানি। সুস্থভাবে জীবের বেচেঁ খাকার জন্য সুস্থ পরিবেশের প্রয়োজন। মানুষ বাড়ার সাথে সাথে পরিবেশ দূষণের যে সম্পর্ক রয়েছে তা তিনটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো-

১) কোনো দেশের জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলে বসতির জন্য বাড়তি জায়গার প্রয়োজন হয়।

২) বাড়তি জনসংখ্যার বিভিন্ন চাহিদা মেটানোর জন্য মানুষ মানুষ পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান, যেমন- বায়ু, পানি, মাটি ইত্যাদি নানাভাবে ব্যবহা করে।

৩) বাড়তি জনসংখ্যার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় যা বসবাসের হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়াঁয়।

৩। পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো লেখ। পরিবেশ কী কারণে দূষিত হয়? পরিবেশ দূষণের প্রাকৃতিক কারণগুলোর একটি করে উদাহরণ দাও।

উত্তর্র: পরিবেশের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো হলো মাটি, পানি, বায়ু পাহাড়, নদ-নদী, বনজঙ্গল, জীবজন্তু, গাছপালা ইত্যাদিতন্মধ্যে পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদান হলো মাটি, পানি এবং বায়ু। পরিবেশের এ উপাদানগুলো দূষণের ফলেই পরিবেশ দূষিত হয়। নিচে পরিবেশ দূষণের প্রাকুতিক কারণগুলোর একটি করে উদাহরণ দেওয়া হলো-

মাটি দূষন: জমিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে মাটি দূষিত হয়।

পানি দূষণ: গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত ময়লা-আবর্জসা ও ধোয়া-মোছার নোংরা পানি ব্যবহারযোগ্য পানিকে দূষিত করে।

বায়ু দূষন: কলকারখানা, গাড়ি, লঞ্চ, স্টিমারের নির্গত কার্বন মনোক্সাইড ও সালফার ডাইঅক্সাইডের বিষাক্ত গ্যাস বায়ুর সাথে মিশে বায়ুকে দূষিত করে।

৪। মাহতাবদের গ্রামে একটি ইটের ভাটা স্থাপনের ফলে সেখানকার পরিবেশ দষিত হয়। সেখানে পরিবেশের কোন ধরণের দূষণ ঘটে? এ ধরণের দূষণ প্রতিরোধের চারটি উপায় লেখ।

উত্তর: মাহতাবদের গ্রামে ইটের ভাটা স্থাপনের ফলে সেখানে বাংয়ু দূষিত হয়। বায়ু দূষণ প্রতিরোধের চারটি উপায় হলো-

১) যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে মাটিতে গর্ত করে চাপা দিতে হবে।

২) নির্দিষ্ট স্থানে ছাই ব্যবহার করে থতু, কফ ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে পুতেঁ ফেলতে হবে।

৩( যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ না করে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।

৪) বেশি করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বায়ুর অক্সিজেন ও কার্বন ড়া্‌ইঅক্সাইডের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

৫। হাসানদের শহরে দিন দিন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য জনগণ নানাভাবে পরিবেশকে দূষিত করছে। পরিবেশ দূষিত হয় এমন কয়েকটি উপাদানের নাম লেখ। পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ কী? পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার তিনটি উপায় লেখ।

উত্তর: পরিবেশ দূষিত হয় এমন কয়েকটি উপাদান হলো-

মাটি, পানি ও বায়ু। পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হলো শিল্পায়ন। পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখার তিনটি উপায় হলো-

১) কলকারখানার বর্জ্য, পলিথিন বা প্লাস্টিক যাতে মাটির সাথে না মিশতে পারে সেজন্য পৃথক পৃথকভাবে জমা করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার করে মাটি দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব।

২) পরিকল্পিত কলকারখানা, ত্রুটিমুক্ত নৌযান ও স্যানিটেশনের মাধ্যমে পানিকে দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব।

৩) কলকারখানা ও বিভিন্ন যানবাহনের নির্গত কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের অনুপাত ঠিক রেখে বায়ুকে দূষনমুক্ত রাখা সম্ভব।

৬। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসলেম সাহেব পরিবেশ সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক একটি আলোচনায় অংশগ্রহণ করলেন। পরিবেশ সংরক্ষ কী। বক্তা পরিবেশ সংরক্ষণের পক্ষে যে যুক্তি তুলে ধরলেন তা চারটি বাক্যে লেখ।

উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ

চেয়্যারম্যান সোসলেম সাহেব পরিবেশ সংরক্ষণের পক্ষে যে যুক্তি তুলে ধরলেন তা চারটি বাক্যে লেকা হলো-

) বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার শেষে অপচয় রোধ করার জন্য তা ও রোধ করার জন্য তা বন্ধ লাখা যেতে পারে

) বৈদ্যুতিক বাতি ও পানির ব্যবহার শেষে অপচয় রোধ করার জন্য তা বণ্ধ রাখা যেতে পারে

) বিদ্যালয় বা বাজারে যাওয়ার জন্য গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে পায়ে হেটেঁ অথবা সাইকেল ব্যবহার করে প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা যেতে পারে

) কারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ, তেল ইত্যাদি পরিবেশে ফেলার পূর্বে পরিশোধন করে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে

কঠামোবদ্ধ প্রশ্ন ও উত্তর

৭। পরিবেশ দূষণ কী? প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য পরিবেশ দূষণ যে দায়ী তা চারটি বাক্যে লেখ।

উত্তর: পরিবেশ ক্ষতিকর প্রভাবের যে পরিবর্তন লক্ষ করা যায় তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য পরিবেশ দূষণই যে দায়ী তা চারটি বাক্যে লেখা হলো-

১) পরিবেশকে অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ; যেমন-ভূমিকম্প, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, দাবানল, অগ্নুৎপাত, টর্নেডো, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ইত্যাদি ঘটে থাকে।

২) বনভূমি ও গাছপালা কমে যাওয়ার ফলে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৩) কার্বন ডাইঅক্সাইড বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৪) আবহাওয়া সও জলবায়ুর পরিবর্তন হওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটছে।

৮। কোরবানি ঈদের সময় সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের পাঁচটি কারণ লেখ।

উত্তর: কোরবানি ঈদের সময় সৃষ্ট পরিবেশ দূষণের পাঁচটি কারণ হলো-

১) জবাইকৃত পশুর রক্ত ও দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় এবং ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় পরিবেশ দূষণ ঘটে।

২) লোকসংখ্যা বৃদ্ধি ও বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবেশ দূষণ ঘটে।

৩) বাদ্যযন্ত্রেরে শব্দ ও পটকা ফোটানোর শব্দে শব্দ দূষণ ঘটে।

৪) প্রতিটি বাড়িতে লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি লোক অল্প ঘটে।

৫)পশুকে পুকুরে গোসল করানো এবং এর পানিতে পশুর ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলার কারণে উক্ত পানি দূষিত হয়।

৯। বায়ু দূষণের ফলে সম্ভাব্য পাচঁটি সমস্যা চিহ্নিত কর।

উত্তর: বায়ু দূষণের ফলে সম্ভাব্য পাচঁটি সমস্যা নিচে দেওয়া হলো –

১) বায়ু দূষণের ফলে প্রাণীদের শ্বাসকার্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

২) হাঁপানি রোগীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশি সমস্যা হয়।

৩) মানুষের ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৪) বিভিন্ন বায়ুবাহিত রোগ, যেমন- বসন্ত, যক্ষা, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদির বিস্তার ঘটে।

৫) পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

১০। পরিবেশ সংরক্ষণে করণীয় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখ।

উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণে করণীয় সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য হলো-

১) কলকারখানা ও শিল্পায়ন আবাসিক এলাকা থেকে দূরে স্থাপন করা।

২) যানবাহনে ভেজালমুক্ত ও বিশুদ্ধ জ্বালানি ব্যবহার করা।

৩) পলিথিনের পরিবর্তে পাটজাত তথা প্রাকৃতিক দ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধি করা।

৪) জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক পরিমিত ব্যবহার করা।

৫) খোলা জায়গায় অথবা যেখানে সেখানে মলমুত্র ত্যাগ না করে স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহার করা।

১১। পরিবেশ দূষণের পাঁচটি কারণ লেখ।

উত্তর: পরিবেশ দূষণের অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পাঁচটি কারণ নিম্নরূপ-

১) বাড়তি জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য কৃষিজমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব রাসায়নিক পদার্থ বৃষ্টি ও বন্যার পানির সঙ্গে মিশে পুকুর, খালবিল ও নদীতে পড়ছে। ফলে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

২) বিগত বছরগুলোতে জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানা, যেমন কাপড় কল, পাটকল, সার কারখানা, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ষাধারণত নদীর ধারেই অবস্থিত। এসব কারখানা বর্জ্য পদার্থ নদীর পানি দূষিত করে। ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।

৩) ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার আবর্জনা ও মলমূত্র নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় আবর্জনা ও মলমূত্র জমে, পচে দুর্গন্ধ ছড়ায় ও নানারকম বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি করে।

৪) ইটের ভাটা, রান্নার চুলা, মোটরগাড়ির অব্যবহৃত টায়ার ও ঝোপজঙ্গল পোড়ালেও ধোঁয়ার সৃষ্টি  হয় যা বায়ু তথা পরিবেশ দূষিত করে।

৫) আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ অত্যধিক পরিমাণে বেড়ে গেলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয় যার ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।

১২। বিদ্যালয়ে পরিবেশ দূষণ রোধের পাঁচটি উপায় লেখ।

উত্তর:  বিদ্যালয়ে পরিবেশ দূষণ রোধের পাঁচটি উপায় হলো-

১) বিদ্যালয়ের ক্লাসের মধ্যে উচ্চ আওয়াজ, গোলমাল, চিৎকার  করা প্রভৃতি বন্ধ করা।

২) বিদ্যালয়ের ভিতরে কাগজ, পলিথিন, প্লাস্টিক প্রভৃতি পদার্থ যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা।

৩)বিদ্যালয়ে উচ্চৈস্বরে গান বা সংগীতের কোনো অনুষ্ঠঅন না করা।

৪) বিভিন্ন বর্জ্য এবং  মৃত প্রাণীর দেহে বিদ্যালয়ে পকুরের মধ্যে না ফেলে মাটিতে পুতেঁ রাখা।

৫) বিদ্যালয়ে ভিতরে পয়ঃনিষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা করা।


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post