পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ
প্রশ্ন: জীব
কিভাবে জড়ের
উপর নির্ভরশীল?
উত্তর:
উদ্ভিদ ও প্রাণী মিলে জীব। আর জীবের জীবন ধারণ করতে জড় বস্তুর প্রয়োজন। মানুষ, অন্যান্য প্রাণী এবং উদ্ভিদ নানাভাবে জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী শ্বাস গ্রহণের জন্য বায়ু, পান করার জন্য পানি এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য নানারকম জড় বস্তু খাদ্য হিসাবে গ্রহণক করে। মানুষ জড় বস্তু ব্যবহার করে করে বাসস্থান, আসবাবপত্র, পোশাক, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি তৈরি করে। অনেক প্রাণী বাসস্থান হিসাবে মাটির গর্ত বা পাহাড়ের গুহা, পানি ইত্যাদি জড় বস্তু ব্যবহার করে। আবার, উদ্ভিদ সূর্যের আলো ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে থাকে। এজন্য তাদের মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি জড় বস্তুর প্্রয়োজন। সুতরাং সব জীবই জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল।
বেচেঁ
থাকার জন্য জীবের যা যা প্রয়োজন:
জীবের
বেচেঁ থাকার জন্য যে সকল জড় বস্তুর প্রয়োজন তার একটি তৈরি করলাম
মানুষ:
বায়ু, পানি, খাদ্য, বাসস্থান, আসবাবপত্র, পোশাক, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ইত্যাদি।
অন্যান্য
প্রাণী: বায়ু, পানি, খাদ্য ইত্যাদি।
উদ্ভিদ:
সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি।
বিষয়বস্তু
২
প্রশ্ন:
উদ্ভিদ ও প্রাণী কীভাবে এক অপরের উপর নির্ভরশীল?
উত্তর:
উদ্ভিদ ও প্রাণী নানাভাবে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল।
উদ্ভিদের
প্রাণীর উপর নির্ভরশীলতা: উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেরাই রি করতে পারলেও এ খাদ্য রি করতে কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রয়োজন। আর এই কার্বন ডাইঅক্সাইড প্রাণীরা ত্যাগ করে। উদ্ভিদের পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সার প্রাণীর মৃতদেহ পচে তৈরি হয়। উদ্ভিদের ফল ও বীজ উৎপাদনের জন্য পরাগায়ন প্রয়োজন। বিভিন্ন ধরনের পাখি, মৌমাছি, প্রজাপতি প্রভৃতি প্রাণীর সাহয্যেই এক ফুল থেকে অন্য ফুলে পরাগায়ন ঘটে।
প্রাণীর
উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীলতা: প্রাণীর বেচেঁ থাকার জন্য খাদ্য প্রয়োজন। উদ্ভিদের কান্ড, শাখা, ফলমূল ইত্যাদি অংশ অধিকাংশ প্রাণীর অন্যতম খাদ্য। প্রাণীর বেচেঁ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উদ্ভিদ হতে আস্ েপৃথিবীতে অনেক প্রাণীর আবাসস্থল হলেঅ উদ্ভিদ।
পারস্পরিক নির্ভরশীলতা
উদ্ভিদ
ও প্রাণী পরস্পরের উপর যে নির্ভরশীল
তার
একটি তালিকা নিচে তৈরি করলাম:
উদ্ভিদের
ক্ষেত্রে:
১.
চিত্রে প্রাণী যেমন- গরু, কাঠবিড়ালি, বানর, পখি, পেচাঁ, প্রজাপতি কার্বনডাইঅক্সাইড ত্যাগ করছে, অপরদিকে উদ্ভিদ তা গ্রহণ করে খাদ্য তৈরি করছে।
২.
প্রজাপতি উদ্বিদের ফুলে ফুলে ঘুরে পরাগায়ণে সহায়তা করছে।
৩.
গরুর গোবর দ্বারা প্রাকৃতিক সার তৈরি হচ্ছে যা উদ্ভিদকে পুষ্টি যোগাতে সাহায্য এবং বেড়ে উঠতে সহায়তা করছে।
প্রাণীর
ক্ষেত্রে:
১.
উদ্ভিদ অক্সিজেন ছাড়ছে এবং প্রাণীরা তা গ্রহণ করছে।
২.
গরু ঘাস খাচ্ছে যা একটি উদ্ভিদ। এখানে গরু খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
৩.
কাঠবিড়ালি ও পাখি উদ্ভিদের ফল খাচ্ছে, এরাও খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল।
বিষয়বস্তু
৩:
প্রশ্ন:
প্রাণী কীভাবে শক্তির জন্য অন্য জীবের নির্ভরশীল?
উত্তর:
প্রত্যেক প্রাণীই শক্তির জন্য অন্য জীব অর্থাৎ প্রাণী ও উদ্ভিদের উপর নির্ভলশীল। উদ্ভিদ সূর্যের আলো ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে এবং বেড়ে ওঠে। পোকামাকড় উদ্ভিদ খেয়ে বেচেঁ থাকে। ব্যাঙ
পোকামাকড়
খায়, মসাপ খাদ্য হিসাবে ব্যাঙ খায়। আবার ঈগল পাখি সাপ খায়। এভাবেই ধাদ্যের মাধ্যমে শক্তি প্রবাহ চলতে থাকে, ফলে প্রাণী জীবন ধারণ করতে পারে। সুতরাং সব প্রাণীই শক্তির জন্য অন্য জীবের উপর নির্ভরশীল।
২. পঞ্চম শ্রেণির আমাদের পরিবেশ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর:
(১) খাদ্য জাল ও খাদ্য শৃঙ্খলের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর:
খাদ্য শৃঙ্খল হলো উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে শক্তি প্রবাহের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। অপরদিকে খাদ্য জাল হলো একাধিক খাদ্য শৃঙ্খলের সমষ্টি।
(২) উদ্ভিদ কিসের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উত্তর:
উদ্ভিদ নিজের খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের জন্য প্রাণীর নির্ভরশীল।
(৩) মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তুর উদাহরণ দাও।
উত্তর:
মানুষ নির্ভর করে এমন তিনটি জড় বস্তু হলো: ১) শ্বাস গ্রগণের বায়ু, ২) পান করার জন্য পানি এবং ৩) পুষ্টির জন্য খাবার।
(৪) পরাগায়ন
কী?
উত্তর:
উদ্ভিদের পুরুষ ফূল থেকে পরাগরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত
হওয়াকে
পরাগায়ন বলে।
৩. পঞ্চম শ্রেণির আমাদের পরিবেশ বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
(১) খাদ্য শৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ঈগল একই রকম তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:
খাদ্য শৃঙ্খলের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া অনুসারে ঘাসফড়িং ঘাস খায়, ব্যাঙ ঘাসফড়িং খায়, সাপ ব্যাঙকে খায়। শেষ ধাপে সাপ ব্যাঙ খায়, ব্যাঙ একটি মাংসাশী প্রাণী, অর্থাৎ সাপ মাংসাশী প্রাণী খেয়ে বেচেঁ থাকে। নিচে সাপের খাদ্য শৃঙ্খল দেখানো হলো-
ঘাস-ঘাসফড়িং-ব্যাঙ-সাপ
আবার,
ঘাসফড়িং ঘাস খায়, ব্যাঙ ঘাসফড়িং খায়, সাপ ব্যাঙ খায় এবং ঈগল সাপ খেয়ে জীবন ধারণ করে। এক্ষেত্রে সাপ বেচেঁ থাকে। নিচে ঈগলের খাদ্য শৃঙ্খল দেখানো হলো-
ঘাস-ঘাসফড়িং-ব্যাঙ-সাপ-ঈগল
সুতরাং
দেখা যায়, খাদ্য শৃঙ্খলে সাপ ও ঈগল একই রকম।
(২) নিচের শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্য শৃঙ্খলের সাঠক ক্রম ব্যাখ্যা কর:
ঈগল,
সূর্য্, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।
উত্তর:
উল্লিখিত শব্দগুলো নিয়ে গঠিত খাদ্য শৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা করা হলো-
ঘাস
সূর্যের আলো ব্যবহার করে খাদ্য তৈরি করে। পোকামাকড় সেই ঘাস খেয়ে বেচেঁ থাকে। ব্যাঙ পোকামাকড় খায়, সাপ ব্যাঙ খেয়ে জীবন ধারণ করে। আবার ঈগল সাপ খেয়ে বেচেঁ থাকে। ফলে খাদ্য শৃঙ্খলের সঠিক ক্রম হলো-
সূর্য্-ঘাস-পোকামাকড়-ব্যাঙ-সাপ-ঈগল
(৩) বায়ুর উপর জীব কীভাবে নির্ভরশীল তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:
আমাদের চারপাশের মানুষ, গরু, ছাগল, পাখি, গাছপালা ইত্যাদি জীব বায়ুর নির্ভরশীল। জীবের বেচেঁ থাকা ও খাদ্য তৈরির জন্য বায়ু একটি অপরিহার্য্ উপাদান। প্রাণীরা বায়ু থেকে শ্বাস গ্রহণের সময় অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে। আবার উদ্ভিদ খাদ্য তৈরি
করার
সময় বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে। বায়ুর অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড উপাদান দুটির পারস্পরিক বিনিময় জীবের বেচেঁ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৪) উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ কেন গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:
উদ্ভিদের ফুল থেকে ফুলে পরাগায়নের ফলে উৎপন্ন বীজ বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হলো বীজের বিস্তরণ। বীজের বিস্তরণের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সব ধরণের উদ্ভিদ জন্মে এবং এতে একদিকে উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটে অন্যদিকে প্রাণিকুলের জন্য অক্সিজেন পাওয়া সহজ হয়। যদি বীজের বিস্তরণ না ঘটত তবে অধিকাংশ বীজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে উদ্ভিদের বংশবিস্তার ঘটত না। এতে প্রাণিকুলের জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাব হতো। তাই উদ্ভিদের জন্য বীজের বিস্তরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
(৫) তোমার টেবিলের উপরে রাখা গাছটি মারা যাচ্ছে। তোমার বন্ধুরা গাছটিকে জানালার পাশে নিয়ে রাখার পরামর্শ দিল। কেণ?
উত্তর:
উদ্ভিদের বেচেঁ থাকার জন্য আলো, মাটি, পানি ও বায়ু এ চারটি উপাদানের প্রয়োজন হয়। ঘরের মধ্যে আমার টেবিলের উপর রাখা গাছটিতে সূর্য্র আলো ছাড়া অন্য উপাদানগুলোর উপস্থিতি ছিল। কিন্তু ঘরের মধ্যে সূর্য্ের আলো প্রবেশ করতে না পারায় গাছটি মারা যাচ্ছিল। ঘরের জানালার পাশে পর্যাপ্ত সূর্যের আলোর উপস্থিতি থাকার কারণে আমার বন্ধুরা সেখানে গাছটি রাখার পরামর্শ দিল। এতে গাছটি বেচেঁ থাকার প্রয়োজনীয় সব উপাদান পাবে এবং ধীরে ধীরে সতেজ হয়ে উঠবে।
পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত
প্রশ্র ও উত্তর:
১। উদ্ভিদ ও প্রাণী বেচেঁ থাকার জন্য যে যে উপাদান প্রয়োজন, সেগুলোর দুটির নাম লেখ।
উত্তর:
উদ্ভিদ ও প্রাণী বেচেঁ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় দুটি উপাদান হলো পানি ও বায়ু।
২। খাদ্য জাল কী?
উত্তর:
খাদ্য জাল হলো অনেকগুলো খাদ্য শৃঙ্খলের পারস্পরিক সম্পর্ক।
৩। প্রাণী ও উদ্ভিদ কী ছাড়া বেচেঁ থাকতে পারে না।
উত্তর:
প্রাণী ও উদ্ভিদ বাযু ছাড়া বেচেঁ থাকতে পারে না।
৪। খাদ্য শৃঙ্খলের একটি উদাহরণ লেখ।
উত্তর:
খাদ্য শৃঙ্খলের একটি উদাহরণ হলো সাপ ব্যাঙকে খায়, ব্যাঙ ঘাসফড়িংকে এবং ঘাসফড়িং সবুজ উদ্ভিদ ঘাসকে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে।
৫। পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটি উদাহরণ লেখ।
উত্তর:
পরিবেশের উপর জীবের নির্ভরশীলতার দুটি উদাহরণ হলো-
১)
জীব তৃষ্ণা মেটাতে যে পানি পান করে থাকে তা পরিবেশ থেকেই পেয়ে থাকে।
২)
জীবের শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করার জন্য পরিবেশ থেকে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড উপাদান দুটি ব্যবহার করে।
৬। খাদ্য শৃঙ্খল কী?
উত্তর
বাস্তসংস্থানে
উদ্বিদ বা প্রাণীথেকে প্রাণী থেকে ফ্রাণীতে শক্তি প্রবাহের ধারাবাহিক প্রক্রিয়াই হলো খাদ্য শৃঙ্খল।
৭। সকল শক্তির প্রধান উৎষ কী?
উত্তর:
সকল শক্তির প্রধান উৎস হলো সূর্য্।
৮। প্রাণী শ্বাসকার্যে কোন কোন গ্যাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে?
উত্তর:
প্রাণী শ্বাসকার্যে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে।
৯। জীবের বেচেঁ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিসটি উপাদানের নাম লেথ।
উত্তর:
জীবের বেচেঁ থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উপাদান হলো-মাটি, পানি ও বায়ু।
১০। উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে আমরা কী পাই?
উত্তর:
উদ্ভিদ ও প্রানী থেকে আমরা খাদ্য ও ঔষধসহ আমাদের বেচেঁ থাকার অকে জিনিস পাই।
১১। পরিবেশ কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর:
পরিবেশ দুই প্রকারঅ যথা-জড় পরিবেশ ও জীব পরিবেশ।
১২। কয়েকটি জড় পরিবেশের উদাহরণ দাও।
উত্তর:
পাহাড়. নদী, সমুদ্র, গ্রাম, শহর ইত্যাদি জড় পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত।
১৩। কয়েকটি জীব পরিবেশের উদাহরন দাও।
উত্তর:
মানুষ, পাখি, গরু, ছাগল, গাছপালা ইত্যাদি জীব পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত ।
১৪) পরিবেশে
বেচেঁ থাকা জন্য উদ্ভিদ কী কী জড় বস্তুর উপর নির্ভর করে?
উত্তর:
পরিবেশে বেচেঁ থাকার জন্য উদ্ভিদ সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদি জড় বস্তুর উপর নির্ভর করে।
১৫)
উদ্ভিদ কিসের জন্য প্রাণীর উপর নির্ভরশীল?
উত্তর:
উদ্ভিদ তার খাদ্য তৈরি, বৃদ্ধি, পরাগায়ন ও বীজের বিস্তরণের জন্র প্রাণীর উপর নির্ভরশীল।
১৬)
এমন দুটি উদ্ভিদের নাম লেখ যাদের আবাসস্থল পানিতে।
উত্তর:
শাপলা ও কচুরিপনা উদ্ভিদের আবাসস্থল পানিতে।
১৭)
প্রাণীর জন্য খাদ্য প্রয়োজন কেন?
উত্তর:
প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য প্রাণীর খাদ্য প্রয়োজন।
১৮। উদ্ভিদ কিভাবে খাদ্য তৈরি করে?
উত্তর:
উদ্ভিদ সূর্যের আলেঅ, পানি ও বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহা করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।
১৯। বাস্তুসংস্থান কাকে বলে?
উত্তর:
কোনো স্থানের সব জীব ও জড় এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াকে ঐ স্থানের বাস্তুসংস্থান বলে।
২১। উদ্ভিদ ও প্রাণী শক্তি পায় কীভাবে?
উত্তর:
উদ্ভিদ সূর্য্ থেকে এবং প্রাণী খাদ্য থেকে শক্তি পায়।
পঞ্চম শ্রেণি আমাদের পরিবেশ কাঠামোবদ্ধ প্রশ্র ও উত্তর
প্রশ্ন ১। জাহিদদের বাগানে পাখি ও মৌমাছি উড়ে এসে জবা ফুলের পাপড়িতে বসল। কিসের জন্য পাথি ও মৌমাছি ফুলের পাপড়িতে বসে? কীভাবে এ প্রক্রিয়াটি ঘটে? কীঠপতঙ্গ ও পাখি উদ্ভিদের এ প্রক্্রিয়ায় যে ভূীমকা রাখে তা তিনটি বাক্যে লেখ।
উত্তর:
পরাগায়নে সাহায্য করার জন্য পাখি ও মৌমাছি ফুলের পাপড়িতে বসে। উদ্ভিদের পুরুষ ফুল থেকে পরাগরেণু স্ত্রী ফুলের গর্ভমুন্ডে পতিত হওয়ার মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটে। কীটপতঙ্গ ও পাখি উদি্ভদের এ প্রক্্রিয়ায় যে ভূমিকা রাখে তা তিনটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো-
১)
পাখি ও কীটপতঙ্গ ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়।
২)
প্রাণীদের গায়ে পুরুষ ফুল থেকে পরাগরেণু লেগে যায়।
৩)
প্রাণীরা যখন স্ত্রী ফুলে গিয়ে বসে তখন উক্ত পরাগরেণু গর্ভমুন্ডে পতিত হয়ে পরাগায়ন ঘটায়।
প্রশ্ন ২। সৌমিক বিকালে সবুজ ঘাসের মাঠে একটি ব্যাঙ ও ঘাসফড়িং দেখল। সবুজ ঘাস, ব্যাঙ ও ঘাসফড়িং এর মধ্যে সম্পর্কটিকে কী বলে? এর চারটি বৈশিষ্ট উল্লেখ কর।
উত্তর: সবুজঘাস, ব্যাঙ ও ঘাসফড়িং এর মধ্যে যে সম্পর্ক বিদ্যমান তাকে খাদ্য শৃঙ্খল বলে।
খাদ্য শৃঙ্খলের চারটি বৈশিষ্ট উল্লেখ করা হলো-
১) প্রত্যেক খাদ্য শৃঙ্খলে উৎপাদক বিদ্যমান।
২) খাদ্য শৃঙ্ভলে এক বা একাধিক খাদক থাকে।
৩) সূর্যালোক হতে প্রাপ্ত শক্তি উৎপাদনের মাধ্যমে খাদকে স্থানান্তরিত হয়।
৪) প্রকৃতিতে বিভিন্ন খাদ্য শৃঙ্খল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
প্রশ্ন ৩। রিয়াজ সুস্থভাবে জীবনযাপন ও বেচেঁ থাকার বিভিন্ন জড় বস্তুর নির্ভরশীলতা সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ। আবার স্বাভাবিকভাবে বেচেঁ থাকার জন্য জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল এমন তিনটি উদাহরণ দাও।
উত্তর: রিয়াজের সুস্থভাবে
জীবনযাপনের
জন্য জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীলতা সম্পর্কে দুটি বাক্য হলো-
১) পোশাক ও বাস্থানের প্রয়োজন হয়।
২) আসবাবপত্র ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়।
আবার,
স্বাভাবিকভাবে
বেচেঁ থাকার জন্য রিয়াজ জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল এমন তিনটি উদাহরণ হলো-
১)
শ্বাস গ্রহণের জন্য বায়ুর প্রয়োজন।
২)
পান করার জন্য পানির প্রয়োজন।
৩)প্রয়োজনীয় পুষ্টির জন্য খাবার প্রযোজন।
প্রশ্ন ৪। শাকিলদের বাগানে বিভিন্ন আকৃতির নানা ধরনের উদ্ভিদ সম্পর্কে দুটি বাক্য লেখ। উদ্ভিদের প্রয়োজনীয়তা তিনটি বাক্যে উল্লেখ কর।
উত্তর:
জড় বস্তুর উপর নির্ভরশীল উদ্ভিদ সম্পর্কে দুটি বাক্যে উল্লেখ হলো-
১)
সূর্যের আলো, পানি ও বায়ু থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করে উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।
২)
শাপলা ও কচুরিপনা উদ্ভিদের আবাসস্থল পানিতে।
উদ্ভিদেরে
প্রয়োজনীয়তা তিনটি বাক্যে উল্লেখ করা হলো-
১)
উদ্ভিদ থেকে আমাদের খাদ্য ও ঔষধ পাওয়া যায়।
২)
উদ্ভিদ থেকে আসবাবপত্র তৈরি করা যায়।
৩)
প্রাণীর শ্বাসকার্যে ব্যবহৃত অক্সিজেন উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৫। তুমি কিছু গাছ রোপণ করবে। গাছের বৃদ্ধির জন্য তোমাকে মাটি, পানি এবং পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করতে হবে। গাছটি অন্ধকারে রাখলে কী ঘটবে? গাছটিতে পানি না দিলে কী ঘটবে? বালিতে রোপণ করলে কী ঘটবে তা তনিটি বাক্যে লিখ।
উত্তর:
আমার রোপণ করা গাছটি অন্ধকারে রাখলে তা খাদ্য তৈরি করতে পারবে না বলে তা মারা যাবে। আবার গাছটিতে পানি না দিলেও মারা যাবে। আর গাছটি বালিতে রোপণ করলে যা ঘটবে তা তিনটি বাক্যে লেখা হলো-
১)
গাছটির পানির অভাব দেখা দিবে।
২)
গাছটির জন্য বেলে মাটি উপযোগী হলে তা কোনো রকমে টিকে থাকবে।
৩)
গাছটির জন্য বেলেমাটি উপযোগী না হলে তা মারা যাবে।
কাঠামোবদ্ধ
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ৬। খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্য জালের মধ্যে পাচটিঁ পার্থক্য লেখ।
উত্তর:
খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্য জালের মধ্যে পাচটিঁ পার্থক্য ছকে দেওয়া হলো-
খাদ্য শৃঙ্খল
১) খাদ্য শৃঙ্খল হলো খাদ্য ও খাদকের সম্পর্ক।
২) খাদ্য শৃঙ্খলে দুই বা ততোধিক খাদ্য থাকে।
৩)খাদ্য শৃঙ্খলে দুই বা ততোধিক খাদক থাকে।
৪) খাদ্য শৃঙ্খল খাদ্য জালের অন্তর্ভুক্ত।
৫) একটি পরিবেশে অনেকগুলো খাদ্য শৃঙ্খল থাকতে পারে।
খাদ্য জাল
১) খাদ্য জাল হলো অনেকগুলো খাদ্য শৃঙ্খলের পারস্পরিক সম্পর্ক।
২) খাদ্য জালে বহুসংখ্যক খাদ্য থাকে।
৩) খাদ্য জালে বহু সংখ্যক খাদক থাকে।
৪) খাদ্য জাল খাদ্য শৃঙ্খলের অন্তর্ভুক্ত নয়।
৫) একটি পরিবেশে একটি মাত্র খাদ্য জাল থাকে।