মাথা ব্যথা কমানোর উপায়
আমাদের মাঝে কেউ এমন নেই যার কখনো মাথা ব্যথা হয়নি।আবার এমনও আছে যদের মাথা ব্যথার কারণে জীবন এক অশান্তির পথে।এই জন্য আমাদের সবার মাথা ব্যথা সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা থাকা প্রয়োজন।মাথা ব্যথা অনেক ধরনের হয়ে থাকে।আজকে এই পোষ্টিতে বিভিন্ন ধরণের মাথা ব্যথা সম্পর্কে ধারণা দিবো এবং সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটা সেটা হলো মাথা ব্যথার সাথে কি কি উপসর্গ দেখা দিলে বেশি দেরি না করে ডাক্তারের সরণাপন্ন হবেন।
মাথা ব্যথার কারণ এবং নিরাময় করার উপায়
ডাক্তাররা
কিভাবে মাথা ব্যথা শ্রেণীবিভাগ
করেঃ যখন কোন রোগি
ডাক্তারের নিকট আসে ডাক্তাররা
মাথা ব্যথার উপসর্গ গুলোকে
দুইটি শ্রেণি ভাগে ভাগ
করার চেষ্টা করেন।
মাথার প্রথম ভাগ (Primary Headek):
প্রথম ভাগে মাথাকে
সিটি স্ক্যান বা এম আর
আই করার কোন প্রয়োজন
নেই।
মাথার
দ্বিতীয় ভাগ (Secondary Headek):
দ্বিতীয় ভাগে সিটি স্কান বা এম আই আর এবং অন্যান্য বিষয় করা খুবই জরুরি।
- টেনশান জনিত কারণ ( Tensan Headek)
টেনশন বা Tensan Headek:
আমরা প্রথমে বলেছিলাম যে আমাদের কখনো না কখনো কারো মাথা ব্যথা হয়েছে এটাই মুলত Tensan Headek।কারণ এটা হচ্ছে সব চেয়ে Comon taype of deadekdeadek।আর এর ব্যথা টা হয় সমস্ত মাথা ঘিরে।সাধারণত কাজের শেষে বা দিনের শেষে আমাদের এই ব্যথাটা হয়ে থাকে।এই ব্যথা হবার জন্য কিছু কারণ রয়েছে যেমনঃ ঘুম কম হবার কারণ,খাবার কোন কারণে খাওয়া হয়নাই ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।ডাক্তাররা মুলত এটার জন্য Painkilar দিয়ে থাকেন।
মাইক্রেন(Micren Headek):
এটা মুলত মাথার এক পাশে হয়।রোগীরা সাধারণত বলে দবদব ব্যথা এবং ব্যথা শুরু হবার আগে রোগীরা বুঝতে পারেন।কারণ অনেক সময় রোগি আলোর ঝটকা দেখতে পাই।এই মাথা ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব এমন কি বমিও গতে পারে।ডাক্তাররা এটার জন্য পেইনকিলার এবং বমির জন্য এন্টিমেটিক দিয়ে থাকি।
Classtar Headek:
এটা মুলত চোখের অথবা মাথার এক পাশে হয়ে থাকে।যখন এই ব্যথা হয় তখন দিয়ে রোগীকে কয়েক বার অ্যাটাক করে থাকে এবং এই অ্যাটাকের পর রোগি পুনরায় সুস্থ হয়ে যায়।এটার জন্য ডাক্তার কিছু হালকা ঔষধ দিয়ে থাকে।
মাথার দ্বিতীয় ভাগ (Secondary Headek):
আপনার মাথায় কোন টিউমার,রক্তক্ষরণ,ব্লাডপ্রেশার প্রদাহ জনিত রক্তক্ষরণ অথবা কোন কারণে প্রেসার বেড়ে যায় সেই কারণে হয়ে থাকে।এই ব্যথাটি মুলত দিনের প্রথম অংশে বেশি হয়।রোগি মুলত চোখে কম দেখা বা বমি বমি ভাব দেখা দিতে পারে।এছাড়াও কিছু আরো কারণ রয়েছে যেমন হার্টের ঔষধ খাওয়ার ফলে ব্লাড প্রেশার ঔষধ খাওয়ার ফলে এসব কারণে Secondary Headek হতে পারে।
বন্ধুগন আরো বিভিন্ন কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে যেমন কেউ রাতে ঘুমানোর সময় নাক ডাকে যার ফলে সকালে হালকা ভাবে মাথা ব্যাথা হতে পারো।এছাড়াও আমরা যারা মাথা ব্যথার জন্য পেইনকিলার ওষুধ খেয়ে থাকি এটা যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথা ব্যথা হতে পারে।ডাক্তারের ভাষায় এধরণের ব্যথাকে Over Headek বলা হয়।
কি কি ব্যথা বা উপসর্গ দেখা দিলে সাথে সাথে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেনঃ
- আপনার যদি ব্যথা হঠাৎ করে শুরু হয়।রোগিরা বলে থাকা এমন ব্যথা আমার জীবনে কখনো হয়নি।
আশা করি মাথা ব্যথা সম্পর্কে আপনার কিছু ধারণা হলো এবং আপনি কোন ধরণের ব্যথায় ভুগছেন সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে পারেন।
Comments
Post a Comment